শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন

আপডেট
গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের বর্বর হামলা, নিহত অন্তত ১৭

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলের বর্বর হামলা, নিহত অন্তত ১৭

অনলাইন  ডেস্ক:অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় আরও অন্তত ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। মধ্য গাজার একটি স্কুলে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। যে স্কুলে হামলা হয়েছে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো। রোববার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান পাড়ায় অবস্থিত হামামা স্কুলে হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

শনিবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন, স্কুলে কমপক্ষে তিনটি বোমা ফেলা হয়েছিল। প্রথমবার হামলার পর উদ্ধারকারী এবং স্কুলের ভেতরে স্বেচ্ছাসেবকরা ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে লোকদের পালাতে সাহায্য করার চেষ্টার সময় ফের হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ‘ওই তিনটি বোমা স্থাপনাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। অতীতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে এই কৌশল। প্রথমে সামরিক বাহিনী একটি বোমা ফেলে যা আংশিকভাবে স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করে দেয়, এভাবে অনেক লোককে হত্যা করে তারা এবং তারপর কয়েক মিনিটের মধ্যে ইসরায়েল একইস্থানে অন্যান্য আরও বোমা ফেলে।’

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, স্কুলটি গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল এবং এখানে যোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখার পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কাজও করা হতো।

হামাস অবশ্য ইসরায়েলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্কুল এবং হাসপাতালের মতো বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে সামরিকভাবে ব্যবহার না করার কথাও জানিয়েছে তারা।

গোষ্ঠীটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছে এবং এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দখলদার সেনাবাহিনী গাজায় অরক্ষিত বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অজুহাত হিসাবে মিথ্যাকে ব্যবহার করে থাকে।’

আল জাজিরার যাচাইকৃত ফুটেজে ইসরায়েলি হামলার শিকার ব্যক্তিদের আল-আহলি হাসপাতালে আসতে দেখা গেছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |